লায়লা আখতার ফারহাদের ধর্ষণ মামলায় ‘টিকটকার’ আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) গ্রেফতার করেছে কুমিল্লার পুলিশ। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা এ মামলায় সোমবার (১০ জুন) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (১১ জুন) তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হবে।
রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের কথা জানিয়ে রোববার (৯ জুন) প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা। এরপর সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এখন আমাদের টিম কুমিল্লায় যাচ্ছে। কুমিল্লার পুলিশ প্রিন্স মামুনকে হস্তান্তর করবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে প্রতারণা করে বিয়ে না করার অভিযোগে এক নারী রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ফৌজদারি বিধির ৩২৩, ৩০৭ ও ৫০৬ ধারায় মামলা করেন। মামলার পর আদালতের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান বলেন, প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় ধর্ষণ মামলা রয়েছে। কুমিল্লার পুলিশ তাকে হস্তান্তর করবে। আমাদের টিম কুমিল্লায় যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে রোববার (৯ জুন) প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন লায়লা।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দেই।
২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।